অনেকদিন পরে আবার টেকটিউনসে লিখতে বসলাম; আশাকরি সবাই ভালো আছেন। প্রথম পাতায় একটি পোস্ট দেখে পড়তে গেলাম, টেকটিউনস জরিপ [জুন ২০১০]: অনলাইন আয়ের ব্যাপারে সফলতা কম। আমি দেখলাম সেখানে ৩৩৮ জন অংশ নিয়েছিলেন জরিপে তাদের মধ্যে নিয়মিত ভালো আয় করছেন এবং আগ্রহ নেই ব্যাক্তিদের সংখ্যা বাদ দিলে বাকি সিংহভাগই চেষ্টা করছেন অথচ আয় কম, আগ্রহ থাকলেও চেষ্টা করে দেখেননি নয়তো চেষ্টা করেও এখনো পর্যন্ত ব্যর্থ। ধন্যবাদ সাবটাইটেল মামুন, এই জরিপের তথ্য আমাদের সামনে উপস্থাপনা করার জন্য।
আজকাল একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে লোকমুখে শুনে কিম্বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট / ব্লগ পড়ে আয়ের আশায় অনেকেই ব্লগ খুলছেন। কিন্তু অধিকাংশ ব্লগারের ধারনা যে একটি ব্লগ খুলে যা ইচ্ছা লিখে ফেললেই ভিজিটার এসে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে এবং আয় হতে থাকবে। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর এমন ব্লগ যেখানে প্রযুক্তির নামে সফটওয়্যার ডাউনলোড দেওয়া হচ্ছে, মিউজিক ব্লগের নামে গানের এলবাম পাইরেসি করে ডাউনলোড দেওয়া হচ্ছে নয়তো সেই উইন্ডোজ টিপস & ট্রিকস, ওয়ার্ডপ্রেস আর ব্লগার ব্লগ কিভাবে বানাতে হয় আর কিভাবে কাস্টমাইজ করতে হয়; কেউ বা বানাচ্ছেন দেশী বিদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা অভিনেত্রীদের ছবির ব্লগ। এইভাবে আয় হবেনা। হলেও তা হতাশাজনক হবে। কেউ কেউ এর মধ্যে সাফল্য পেয়ে গেলেও সেটা ব্লগিংয়ের জোরে কম আর প্রচুর লোকজনের সঙ্গে চেনাপরিচিতির কারনে সাফল্য পাচ্ছেন। এছাড়া কিছু প্রোগ্রামিং জানা গুণী ব্যাক্তিরা সাফল্য পাচ্ছেন। বাকিদের কি হবে?
এইজন্য কীওয়ার্ডে তারতম্য ঘটাতে হবে। যেমন, nokia mobiles - lcd tv reviews ইত্যাদি কীওয়ার্ডে যে কাজ হবে, তার চেয়ে বেশি কাজ হবে lcd tv price walmart, used mobiles for sale, discount mobiles in california ইত্যাদি কীওয়ার্ডে। দুই ধরনের কীওয়ার্ডের তফাৎ বুঝে নিন। আমি সামান্য উদাহরণ দিলাম, আপনারা ইচ্ছে করলে গুগলের নানাবিধ কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস ব্যবহার করে বেশি চাহিদার কীওয়ার্ড খুঁজে নিতে পারবেন।
আপনি এই সমাজে থাকেন, আপনার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুমহল ইত্যাদি আছে; আপনার চারপাশে প্রত্যেকের জীবনে ঘটে চলেছে কিছু সাধারন দৈনন্দিন জীবনধারনের গল্প। সেইখান থেকেই তুলে আনুন কিছু গল্প। লিখে ফেলুন ব্লগে। দেখবেন ইউনিক এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরী হয়ে যাচ্ছে। এই যেমন একদিন আপনার বন্ধু ফোন করে আপনাকে জানালো সে নতুন মোবাইল কিনতে চায়, তিনি আপনার সঙ্গে গিয়ে কোনো এক শপিং মলে বিভিন্ন দোকান ঘুরে অনেক মডেল দেখে তার পছন্দের সেট বেছে নেবেন। এটাই লিখে ফেলুন? এবং দেখুন কিভাবে সুন্দর ভাবে বাস্তবিক উপায়ে ইউনিক কন্টেন্ট তৈরী হয়ে যাবে, তাতে একদিকে যেমন থাকবে অনেক শপিং মলের নাম, সাথে থাকবে বিভিন্ন মোবাইল মডেলের নাম/নম্বর ও যা যা ফিচার দেখলেন তার বিবরণ। আস্ত একটা মোবাইল রিভিউ হয়ে যাবে অনায়াসে! নিজেই বুঝবেন যে অন্য সাইটের থেকে আলাদা হয়েছে আপনার লেখা।
এইভাবে বিভিন্ন আলাদা আলাদা বিষয়ে ব্লগিং করতে পারেন। মনে রাখবেন, জীবন থেকে তুলে আনা গল্প অন্যান্যদের জীবনের সাথেও মিলে যায় এবং পাঠক তাতে নানাভাবে আকর্ষণবোধ করবেনই।
আজকাল একটি প্রবণতা দেখা যাচ্ছে যে লোকমুখে শুনে কিম্বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট / ব্লগ পড়ে আয়ের আশায় অনেকেই ব্লগ খুলছেন। কিন্তু অধিকাংশ ব্লগারের ধারনা যে একটি ব্লগ খুলে যা ইচ্ছা লিখে ফেললেই ভিজিটার এসে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে এবং আয় হতে থাকবে। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর এমন ব্লগ যেখানে প্রযুক্তির নামে সফটওয়্যার ডাউনলোড দেওয়া হচ্ছে, মিউজিক ব্লগের নামে গানের এলবাম পাইরেসি করে ডাউনলোড দেওয়া হচ্ছে নয়তো সেই উইন্ডোজ টিপস & ট্রিকস, ওয়ার্ডপ্রেস আর ব্লগার ব্লগ কিভাবে বানাতে হয় আর কিভাবে কাস্টমাইজ করতে হয়; কেউ বা বানাচ্ছেন দেশী বিদেশী চলচ্চিত্র অভিনেতা অভিনেত্রীদের ছবির ব্লগ। এইভাবে আয় হবেনা। হলেও তা হতাশাজনক হবে। কেউ কেউ এর মধ্যে সাফল্য পেয়ে গেলেও সেটা ব্লগিংয়ের জোরে কম আর প্রচুর লোকজনের সঙ্গে চেনাপরিচিতির কারনে সাফল্য পাচ্ছেন। এছাড়া কিছু প্রোগ্রামিং জানা গুণী ব্যাক্তিরা সাফল্য পাচ্ছেন। বাকিদের কি হবে?
অনলাইনে ব্লগ থেকে আয় যেভাবে হয় -
খুব স্পষ্ট করে একটি কথা বুঝতে হবে, ব্লগাররা যেমন চাইছেন আয় করতে, তেমনই বিজ্ঞাপনদাতাও এসেছেন আয় করতে। তিনি বিজ্ঞাপনে টাকা ঢালছেন মানে এই নয় যে তিনি বিশ্বের সকল ব্লগারকে অকাতরে দান করতে এসেছেন। তার একটি পণ্য আছে, সেইটার প্রচার চাইছেন তিনি এবং সেই পণ্যের বিক্রয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই তিনি বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। তাকে আপনি ব্লগার হিসেবে কিভাবে সাহায্য করতে পারেন? উপায় একটাই, আপনি হোন তার সেলসম্যান। তার পণ্য বিক্রয় করার পথে তাকে সাহায্য করুন আপনার ব্লগ মারফত, আপনার ভিজিটারদের মাঝে প্রচার করে। বদলে নিন কমিশন। ব্লগ থেকে আয়ের এটাই মূল কথা।ব্লগ থেকে আয় করতে চাইলে -
আগেই ভেবে নিন বাজারে এখন কি কি পণ্যের চাহিদা বেশি যাচ্ছে। প্রচলিত ভাষায়, কোন কীওয়ার্ডের মূল্য কেমন যাচ্ছে আজকাল। এইটা জেনে নিয়ে তার পরে ভাবুন যে ওইসব কীওয়ার্ডের বিষয়ের মধ্যে আপনি কোন কোন বিষয়ে লিখতে পারবেন। যে বিষয়ে আপনার সামান্যতমও জ্ঞান নেই, সেই বিষয়ে লিখতে বসলে এখান ওখান থেকে কপি করতে হবে লেখা। তাতে লাভের বদলে ক্ষতিই হবে। সেই চেষ্টায় না গিয়ে নিজে কি লিখতে পারেন ভেবে নিয়ে সেই বিষয়ের ব্লগ খুলুন। আপনার ব্লগ কিম্বা ওয়েবসাইটকে বানিয়ে তুলুন বিজ্ঞাপনদাতার অনলাইন দোকানের সমান। বিজ্ঞাপনদাতাকে প্রচুর বিজনেস দিন আর ঘরে তুলে নিন আকর্ষণীয় কমিশন যা আসবে গুগল এডসেন্স চেকের মধ্যে দিয়ে। অনেকেই এই দিকটা উপেক্ষা করে চলেন, তাই আয়ের পথেও নিরাশাই পান। এখন থেকে বুঝে নিয়ে উপযুক্ত পথে চললে আয়ও ভালোই পাবেন।কীওয়ার্ডের তারতম্য ঘটান
এসইও করার আগে জেনে নিন, সার্চ ইঞ্জিনে মূলত দুই প্রকারের সার্চ হয়। এক শ্রেনীর ইউজার তথ্য খোঁজেন, অন্য আরেক শ্রেনীর ইউজার কিছু কেনার উদ্দেশ্যে নানাবিধ তথ্য খোঁজেন। প্রথম ধরনের সার্চ থেকে আয় হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। অসম্ভব বলছিনা, ক্ষীণ বলছি - অর্থাৎ ক্লিক পড়লেও তাতে ০.০১ ~ ০.০৫ ডলার রেট হয়তো পাবেন, এর বেশি নয়। কিন্তু ভালো আয়ের উৎস হচ্ছে ওই দ্বিতীয় ধরনের সার্চ ইউজার যারা কিছু কিনতে চান। আপনি বিজ্ঞাপনদাতার অনলাইন রিপ্রেজেন্টেটিভ, তাই এই দ্বিতীয় শ্রেনীর সার্চ ইউজারকে টার্গেট করবেন এবং আপনার লেখার মধ্যে দিয়ে পণ্যের প্রতি আগ্রহ সঞ্চার করে তুলে ইউজারকে বিজ্ঞাপনদাতার ওয়েবসাইটের দিকে এগিয়ে দেবেন। এতেই বিজ্ঞাপনদাতার বানিজ্যিক উদ্দেশ্য সফল হবে এবং তিনিও আপনাকে বেশি টাকা দেবেন ওই ক্লিকের জন্য।এইজন্য কীওয়ার্ডে তারতম্য ঘটাতে হবে। যেমন, nokia mobiles - lcd tv reviews ইত্যাদি কীওয়ার্ডে যে কাজ হবে, তার চেয়ে বেশি কাজ হবে lcd tv price walmart, used mobiles for sale, discount mobiles in california ইত্যাদি কীওয়ার্ডে। দুই ধরনের কীওয়ার্ডের তফাৎ বুঝে নিন। আমি সামান্য উদাহরণ দিলাম, আপনারা ইচ্ছে করলে গুগলের নানাবিধ কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস ব্যবহার করে বেশি চাহিদার কীওয়ার্ড খুঁজে নিতে পারবেন।
ইউনিক কন্টেন্ট লেখার উপায় অনেক
ইউনিক কন্টেন্ট নিয়ে প্রচুর আলোচনা হয়েছে ইতিপূর্বে। আমরা কেউ বিজ্ঞানী নই, আমরা কিছু আবিষ্কার করছিনা, তাই ইউনিক বলতে সেই অর্থে কিছুই হবেনা। জানা জিনিস, ঘুরেফিরে একই সব টপিক, কিন্তু এরই মধ্যে ইউনিক এবং ফ্রেশ কন্টেন্ট বলতে এমন কিছু করতে হবে যাতে পাঠকের নজরে সেটা বস্তাপঁচা একই জিনিস নাহয়ে যায়। এখানে আসবে ক্রিয়েটিভ রাইটিংয়ের প্রয়োজন। আবারও সেই একই কথা, আমরা কেউ সাহিত্যিক বা ঔপন্যাসিক নই তাই গল্প কাহিনী লেখা সম্ভব নয়। তাহলে কি করবেন?আপনি এই সমাজে থাকেন, আপনার পরিবার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুমহল ইত্যাদি আছে; আপনার চারপাশে প্রত্যেকের জীবনে ঘটে চলেছে কিছু সাধারন দৈনন্দিন জীবনধারনের গল্প। সেইখান থেকেই তুলে আনুন কিছু গল্প। লিখে ফেলুন ব্লগে। দেখবেন ইউনিক এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরী হয়ে যাচ্ছে। এই যেমন একদিন আপনার বন্ধু ফোন করে আপনাকে জানালো সে নতুন মোবাইল কিনতে চায়, তিনি আপনার সঙ্গে গিয়ে কোনো এক শপিং মলে বিভিন্ন দোকান ঘুরে অনেক মডেল দেখে তার পছন্দের সেট বেছে নেবেন। এটাই লিখে ফেলুন? এবং দেখুন কিভাবে সুন্দর ভাবে বাস্তবিক উপায়ে ইউনিক কন্টেন্ট তৈরী হয়ে যাবে, তাতে একদিকে যেমন থাকবে অনেক শপিং মলের নাম, সাথে থাকবে বিভিন্ন মোবাইল মডেলের নাম/নম্বর ও যা যা ফিচার দেখলেন তার বিবরণ। আস্ত একটা মোবাইল রিভিউ হয়ে যাবে অনায়াসে! নিজেই বুঝবেন যে অন্য সাইটের থেকে আলাদা হয়েছে আপনার লেখা।
এইভাবে বিভিন্ন আলাদা আলাদা বিষয়ে ব্লগিং করতে পারেন। মনে রাখবেন, জীবন থেকে তুলে আনা গল্প অন্যান্যদের জীবনের সাথেও মিলে যায় এবং পাঠক তাতে নানাভাবে আকর্ষণবোধ করবেনই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন