আধাবেলা তত্ত্ব আর আধাবেলা ল্যাব ক্লাস। এই নিয়ে কেটে যায় সারাবেলা। আর দিন শেষে যখন সন্ধ্যা নেমে আসে, তখন শুরু হয় সারা দিনের পড়াগুলো গুছিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি। এর মধ্যে পরিশ্রমীরা যোগ্যতাবলে সামনে এগিয়ে যান, বাকিরা পড়েন পিছিয়ে। এ রকম অগ্রবর্তী শীর্ষছোঁয়া ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) চার শিক্ষার্থী যন্ত্রকৌশল বিভাগের আবদুল আলীম, পুরকৌশলের কবির হোসেন, তড়িৎ কৌশলের আশীষ কুমার কর্মকার এবং টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সাখাওয়াত হোসেন। যাঁরা প্রত্যেকেই সপ্তম সেমিস্টারে প্রথম হয়েছেন ঈর্ষণীয় সিজিপিএ নিয়ে।
জানতে চাইলাম চারজনকে উদ্দেশ করে, কেমন লাগছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে বা কেমন উপভোগ করছেন ডুয়েটের এই সময়টা? কোনো উত্তর আসছে না। শুধু একজন অন্যজনের দিকে তাকাচ্ছেন। পরে মুখ খুললেন সাখাওয়াত হোসেন, ‘পড়তে তো ভালোই লাগে। কারণ, আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তো পাঠ্যবই পড়েই সব শেষ হয় না। পাশাপাশি প্রচুর ল্যাব প্র্যাকটিস করতে হয়, তাই একঘেয়েমি কম আসে।’ ‘শহরের সেই যান্ত্রিকতা নেই ডুয়েটে, ফলে পুরো সময়টাই উপভোগ্য’ বললেন, কবির হোসেন।
ডুয়েটে পড়তে আসার পেছনের ঘটনা কেমন ছিল, জানতে চাইলে আবদুল আলীম জানান, ‘আমার বাড়ি খুলনায়। খুব ইচ্ছা ছিল, খুলনা সিটি কলেজে পড়ার। আবেদনও করেছিলাম। আমার মা আবার সিটি কলেজের পাশাপাশি খুলনা পলিটেকনিকের ফরম উঠিয়েছিলেন। ভর্তি পরীক্ষা দিলাম, সুযোগ এল, ভর্তিও হলাম। পরে বুঝতে পারলাম এখানে থেকেও ভালো কিছু করা সম্ভব। তখন আদাজল খেয়ে লেগে গেলাম। পলিটেকনিকেও ফার্স্ট হয়েছিলাম। আর যাঁরা পলিটেকনিকে পড়েন, তাঁদের স্বপ্ন থাকে এখানে পড়ার। আমারও ছিল। এভাবেই পড়তে চলে এলাম।’
আশীষ কুমার পলিটেকনিকে পড়া নিয়ে কিছু অপ্রাপ্তি যুক্ত করে বলেন, ‘পলিটেকনিকেও এই একই বিষয়গুলো পড়েছি কিন্তু ল্যাব ফ্যাসিলিটি অনেক কম থাকার কারণে অতটা উৎসাহ পেতাম না।’ এ ক্ষেত্রে সাখাওয়াত হোসেনের মতটা একটু ভিন্ন, ‘আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। ডিপ্লোমায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ তখন নতুন খোলা হয়েছে। ফলে আমাদের সিলেবাস যেমন আধুনিক ছিল, তেমনি যন্ত্রপাতিও পেয়েছিলাম আধুনিক। এদিক থেকে আমি কিন্তু ভাগ্যবান।’
পাঠ্য পড়াশোনার পাশাপাশি আরও বই পড়া হয় কবিরের। একটু সুযোগ পেলেই খুলে বসেন জাফর ইকবালের বিজ্ঞান কল্পকাহিনি। আর গেমস-পাগল আবদুল আলীমের সময় কাটে কম্পিউটারে গেমস খেলে। সেই সঙ্গে আরও একটা কাজ হয় তাঁর। ইন্টারনেটেও প্রচুর পড়াশোনা হয়। আর বাউণ্ডুলেখ্যাত আশীষ চষে বেড়ান চারপাশের এলাকা।
পড়ার ইচ্ছাটা প্রবল হলেও সাখাওয়াত জানান, ‘পরীক্ষার সময় এলে কিন্তু টেলিভিশনের টকশো অনেক মধুর মনে হয়। এটাও কিন্তু সত্য...।’ শেষ না হতেই কবির বলেন, ‘যে যাই বলুক না কেন, জাতে মাতাল হলেও তালে কিন্তু ঠিকই। পড়াশোনা করেন নিয়মিত। না হলে কী এত ভালো রেজাল্ট হতো?’
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষের পথে। কেমন হতে পরে পরবর্তী সময়? ‘এমই টা করব। কারণ, ইচ্ছা আছে শিক্ষকতা করার। আর না সুযোগ পেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করতে পারি।’ জানান, আবদুল আলীম। আর সাখাওয়াত হোসেনের মুখে শোনা গেল, ‘আমি কিন্তু পুরোদস্তুর ইঞ্জিনিয়ারই হতে চাই।’
সব প্রত্যাশা যখন প্রাপ্তিতে রূপান্তরিত হয়, স্বপ্নের বেনি তখন আরও বড় হতে থাকে। সব আশা পূর্ণ হবে, একদিন আকাশ ছোঁবেন তাঁরা, এমনটাই প্রত্যাশা ডুয়েটের এই মেধাবীদের।
জানতে চাইলাম চারজনকে উদ্দেশ করে, কেমন লাগছে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে বা কেমন উপভোগ করছেন ডুয়েটের এই সময়টা? কোনো উত্তর আসছে না। শুধু একজন অন্যজনের দিকে তাকাচ্ছেন। পরে মুখ খুললেন সাখাওয়াত হোসেন, ‘পড়তে তো ভালোই লাগে। কারণ, আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তো পাঠ্যবই পড়েই সব শেষ হয় না। পাশাপাশি প্রচুর ল্যাব প্র্যাকটিস করতে হয়, তাই একঘেয়েমি কম আসে।’ ‘শহরের সেই যান্ত্রিকতা নেই ডুয়েটে, ফলে পুরো সময়টাই উপভোগ্য’ বললেন, কবির হোসেন।
ডুয়েটে পড়তে আসার পেছনের ঘটনা কেমন ছিল, জানতে চাইলে আবদুল আলীম জানান, ‘আমার বাড়ি খুলনায়। খুব ইচ্ছা ছিল, খুলনা সিটি কলেজে পড়ার। আবেদনও করেছিলাম। আমার মা আবার সিটি কলেজের পাশাপাশি খুলনা পলিটেকনিকের ফরম উঠিয়েছিলেন। ভর্তি পরীক্ষা দিলাম, সুযোগ এল, ভর্তিও হলাম। পরে বুঝতে পারলাম এখানে থেকেও ভালো কিছু করা সম্ভব। তখন আদাজল খেয়ে লেগে গেলাম। পলিটেকনিকেও ফার্স্ট হয়েছিলাম। আর যাঁরা পলিটেকনিকে পড়েন, তাঁদের স্বপ্ন থাকে এখানে পড়ার। আমারও ছিল। এভাবেই পড়তে চলে এলাম।’
আশীষ কুমার পলিটেকনিকে পড়া নিয়ে কিছু অপ্রাপ্তি যুক্ত করে বলেন, ‘পলিটেকনিকেও এই একই বিষয়গুলো পড়েছি কিন্তু ল্যাব ফ্যাসিলিটি অনেক কম থাকার কারণে অতটা উৎসাহ পেতাম না।’ এ ক্ষেত্রে সাখাওয়াত হোসেনের মতটা একটু ভিন্ন, ‘আমি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র। ডিপ্লোমায় টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ তখন নতুন খোলা হয়েছে। ফলে আমাদের সিলেবাস যেমন আধুনিক ছিল, তেমনি যন্ত্রপাতিও পেয়েছিলাম আধুনিক। এদিক থেকে আমি কিন্তু ভাগ্যবান।’
পাঠ্য পড়াশোনার পাশাপাশি আরও বই পড়া হয় কবিরের। একটু সুযোগ পেলেই খুলে বসেন জাফর ইকবালের বিজ্ঞান কল্পকাহিনি। আর গেমস-পাগল আবদুল আলীমের সময় কাটে কম্পিউটারে গেমস খেলে। সেই সঙ্গে আরও একটা কাজ হয় তাঁর। ইন্টারনেটেও প্রচুর পড়াশোনা হয়। আর বাউণ্ডুলেখ্যাত আশীষ চষে বেড়ান চারপাশের এলাকা।
পড়ার ইচ্ছাটা প্রবল হলেও সাখাওয়াত জানান, ‘পরীক্ষার সময় এলে কিন্তু টেলিভিশনের টকশো অনেক মধুর মনে হয়। এটাও কিন্তু সত্য...।’ শেষ না হতেই কবির বলেন, ‘যে যাই বলুক না কেন, জাতে মাতাল হলেও তালে কিন্তু ঠিকই। পড়াশোনা করেন নিয়মিত। না হলে কী এত ভালো রেজাল্ট হতো?’
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষের পথে। কেমন হতে পরে পরবর্তী সময়? ‘এমই টা করব। কারণ, ইচ্ছা আছে শিক্ষকতা করার। আর না সুযোগ পেলে গবেষণা প্রতিষ্ঠানেও কাজ করতে পারি।’ জানান, আবদুল আলীম। আর সাখাওয়াত হোসেনের মুখে শোনা গেল, ‘আমি কিন্তু পুরোদস্তুর ইঞ্জিনিয়ারই হতে চাই।’
সব প্রত্যাশা যখন প্রাপ্তিতে রূপান্তরিত হয়, স্বপ্নের বেনি তখন আরও বড় হতে থাকে। সব আশা পূর্ণ হবে, একদিন আকাশ ছোঁবেন তাঁরা, এমনটাই প্রত্যাশা ডুয়েটের এই মেধাবীদের।